||The-Benefits-Of-Fennel || মৌরির উপকারিতা ||
মৌরি |
প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় মৌরিকে ওষুধ ও খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হতো। গ্রিকরা এটি শরীরের ওজন কমানো এবং প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করত।
মৌরির পুষ্টি ও ওষধি গুণ:-
মৌরি খনিজ লবণ সমৃদ্ধ একটি বীজ। এতে কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে আছে। এ ছাড়া আছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং কয়েকটি ভিটামিন বি। মৌরি আঁশ সমৃদ্ধ এবং এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভনয়েড।উপকারিতা:-
১. মৌরি বায়ুরোগের জন্য উপকারী, তাই এটা জোলাপ বা ল্যাক্সিটেভ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। জল মিশ্রিত মৌরির রস পেট ফাঁপা এবং পেট ব্যাথার জন্য উপকারী।২. মৌরি হজমের গোলযোগ এবং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
৩. এটা চোখের দৃষ্টিশক্তি এবং প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়ায়।
৪. মৌরি মুখের প্রদাহ এবং ঠাণ্ডা সারাতে সাহায্য করে। মৌরির পাতা গরম জলে সিদ্ধ করে এর ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিলে অ্যাজমা এবং ব্রঙ্কাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. মৌরি এবং এর পাতার নির্যাস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
৬. মৌরির আঁশ কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৭. এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়তা করে।
৮. এটি স্ট্রোক এবং হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
৯. মৌরি শরীরের ওজন কমাতে এবং শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মৌরির তেল মালিশ করলে হারের জয়েন্টের ব্যথা কমে যায়।
রোগ নিরাময়ে মৌরি:-
১. সমপরিমাণ ভাজা মৌরি এবং চিনি নিয়ে গুঁড়া করে দুই ঘণ্টা পর পর ঠাণ্ডা জলের সঙ্গে দুই চামচ পরিমাণ মিশিয়ে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়।
২. খাওয়ার পর নিয়মিত এক চামচ মৌরি হজম শক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
৩. চার চামচ মৌরি ২০০ মি.লি জলে মিশিয়ে ১০০ মি. লি না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। এরপর ঠাণ্ডা করে পান করুন।
৪. রাতে ঘুমানোর আগে আধা চামচ মৌরি চূর্ণ কুসুম গরম জলে মিশিয়ে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে।
৫. সমপরিমাণ মৌরি এবং জিরা ভেজে নিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। প্রতিদিন খাবারের পর এক চামচ করে চিবান, হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
৬. সামান্য ঘি বা মাখন দিয়ে মৌরি ভেজে বোতলে ভরে রাখুন। যখন ধূমপানের ইচ্ছা জাগবে আধা চামচ চিবান, নেশা কমে যাবে।